September 20, 2024, 6:12 pm
নিউজ ডেস্ক: গত বুধবার আনুমানিক সন্ধ্যা ৭টার দিকে শোবার ঘর থেকে শেফালী বেগম (৩২) নামে এক নারী এনজিও কর্মীর মরাদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শেফালী বেগমের বাড়ি জেলার উলিপুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের পাঁচপীর মন্ডলপাড়া গ্রামে। তিনি খলিলগঞ্জ বাজার সংলগ্ন কাজলের বাড়িতে স্বামীসহ ভাড়া থাকতেন। লাশটি উদ্ধার পর থেকে নিহত শেফালী বেগমের স্বামী কে পাওয়া যাচ্ছেনা।
উল্লেখ্য যে নিহত শেফালী বেগম ও তার স্বামী ‘দারিদ্র বিমোচন জনকল্যাণ প্রকল্পে’ একই অফিসে চাকরি করতেন। শেফালী বেগম থানা অডিটর হিসেবে ও তার স্বামী রঞ্জু সরকার একই অফিসে প্রকল্প পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘটনার পর থেকে তিনি গা ঢাকা দিয়েছেন। এটি হত্যা না আত্মহত্যা সেটি নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে।
নিহতের সহকর্মী ফিল্ডকর্মী সাথী জানান, আমি অসুস্থতার কারণে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলাম। দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে শেফালী আপার সাথে আমার মোবাইলে কথা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্বামী প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক রঞ্জু সরকার আমাকে দেখতে হাসপাতালে আসেন। তিনি আমাকে বাড়িতে গিয়ে থাকতে বলার পর তার সাথে আমার আর কোন যোগাযোগ হচ্ছে না।
তিনি আরও বলেন, আমি সন্ধ্যায় শেফালী আপার বাড়ী এসে দেখি ঘরের দরজা বন্ধ। পরে বাড়ির লোকজন পুলিশে খবর দিলে তারা দরজা খুলে তাকে আধাবসা অবস্থায় গলায় ও জানালার গ্রিলের সাথে রশি পেঁচানো অবস্থায় দেখতে পান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মৃত্যুর ঘটনাটি রহস্যজনক। দুপুরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়েছিলো। স্বামী বাড়ি থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর আর আসেনি। আমরা ফোন করলে প্রথমে রিসিভ করে আসতে চাইলেও এখন ফোন বন্ধ করে দিয়েছে মেয়েটির স্বামী।
বাড়ির মালিক কাজলের ছোট ভাই বাদল জানান, এই পরিবারটি গত ১৫ ডিসেম্বর বাড়ি ভাড়া নেয়। তারা দুজনে এনজিওতে চাকরি করেন। তাদের ৭ বছরের একটি ছেলে সন্তান নানা বাড়িতে থাকে।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদুর রহমান জানান, লাশের সুরৎহাল শেষে থানায় নেওয়া হবে। তদন্ত সাপেক্ষে ময়নাতদন্তের পর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।